প্রফেসর শঙ্কুর আশ্চর্য আবিষ্কারগুলো
১. মিরাকিউরলঃ স্বর্ণপর্ণী নামে এক গাছড়ার পাতা থেকে তৈরি সর্বরোগহর বড়ি। মড়া মানুষ বাঁচানো ছাড়া আর সব অসুখেরই সমাধান এই বড়িতে। এর কৃতিত্ব অবশ্য শঙ্কু নিজে নিতে রাজি নন। কারণ, এই গাছড়ার সন্ধান দিয়েছিলেন এক সাধুবাবা।
২. অ্যানাইহিলিনঃ চার ইঞ্চি লম্বা আশ্চর্য পিস্তল। শত্রুর দিকে তাক ঘোড়া টিপলেই দুষ্টু লোক ভ্যানিশ।
৩. সমনোলিনঃ ঘুমের ওষুধ। একবার খেলেই ১০ মিনিটের মধ্যে নাকডাকা ঠেকায় কে?
৪. রিমেমব্রেনঃ লুপ্ত স্মৃতি ফিরিয়ে আনার যন্ত্র। পরীক্ষার হলে একবার কাছে পেলে মন্দ হতো না।
৫. ল্যুমিনিম্যাক্সঃ জোরাল আলোর ল্যাম্প। ব্যাটারি বা বিদ্যুৎ ছাড়াই দিব্যি চলে।
৬. শ্যাঙ্কোপ্লাস্টঃ এটা যে ঠিক কী, সেটা শঙ্কু নিজে বলে যাননি। তাঁর শেষ গল্প ডেক্সেল আইল্যান্ডের ঘটনায় এই জিনিসটির নাম শোনা যায়। তবে সে গল্প অসমাপ্ত।
৭. ইনটেলেক্ট্রনঃ বুদ্ধিমত্তা মাপার যন্ত্র।
৮. স্নাফ গান (নস্যাস্ত্র): শঙ্কুর তৈরি বন্দুক। রক্তপাত ঘটায় না, প্রাণেও মারে না। শুধু একটানা দু’দিন নাগাড়ে হাঁচি হতে থাকে। ‘গান্ধীবাদী অস্ত্র’ বলা যায়।
৯. বিধুশেখরঃ রোবট অত্যাধুনিক রোবট। শঙ্কুর বিপদে কারও নির্দেশ ছাড়াই ‘অ্যাকশন’-এ নামতে পারে। বিধুশেখর সাধু ও চলিত বাংলায় কথা বলতে পারে। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের ধারণার হাতে-কলমে ব্যবহার।
১০. ভয়ের স্বপ্ন দেখার ট্যাবলেটঃ আইডিয়া এসেছিল মহাভারতের ‘জৃম্ভণাস্ত্র’ দেখে। খেয়ে ঘুমালে এমন ভয়ের স্বপ্ন আসবে, যে চুল-দাড়ি পেকে যাবে একরাতেই।
১১. ফিশ-পিলঃ মাছের বিকল্প বড়ি। নিউটনের খাদ্য। এমনই স্বাদ যে, একবার খেলে পরের বার মাছ ফেলে বড়িই বেছে নিতে বাধ্য মার্জারকুল।
১২. বটিকা-ইন্ডিয়াঃ বটফলের রস থেকে তৈরি খিদে-তৃষ্ণানাশক ওষুধ। এক ট্যাবলেটে দামোদর শেঠরা পর্যন্ত তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলবেন।
১৩. নতুন ধরনের কাগজ-কালিঃ ‘ব্যোমযাত্রীর ডাইরি’ অর্থাৎ, শঙ্কুর প্রথম গল্পে এই ধরনের ডাইরির উল্লেখ মেলে। শঙ্কু এই ডাইরি এবং কালিতেই লিখতেন। সেটা যে তাঁরই আবিষ্কার করা, সেটা কোথাও বলা নেই। তবে যে ডাইরি আগুনে পোড়ে না, তবে পিঁপড়ে খেয়ে ফেলতে পারে, আবার কালির রং ঘনঘন বদলায়— এমন ডাইরি শঙ্কু ছাড়া আর কে বানাতে পারেন?
১৪. সুগন্ধীঃ ছত্রিশ রকমের ফুলের নির্যাস মিশিয়ে তৈরি। ঘরে ছেটালেই মেজাজ ফুরফুরে।
১৫. অদৃশ্য হওয়ার ওষুধঃ উপাদান বলতে, এক্সট্র্যাক্ট অফ গরগনাসস, প্যারানইয়াম পোটেনটেট। সোডিয়াম বাই কার্বনেট, বাবুইয়ের ডিম, গাঁদালের রস, টিঞ্চার আয়োডিন।
১৬. কার্বোথিনের গেঞ্জিঃ জামার নীচে পরে থাকলে শক লাগে না।
১৭. মাইক্রোসোনোগ্রাফঃ মানুষের কানে পৌঁছোয়ে না যে সব সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম শব্দ, সেগুলো শোনা যায় এর দৌলতে। এমনকি পিঁপড়ের ডাক পর্যন্ত।
১৮. এয়ার কন্ডিশনিং পিলঃ গরমে শীত আর শীতে ঠান্ডা লাগে এই ট্যাবলেট পকেটে বা জিভের তলায় রাখলে।
১৯. ইলেকট্রিক পিস্তলঃ ৪০০ ভোল্টের শক। অবশ্য কার্বোথিনের গেঞ্জি পড়ে থাকলে এই পিস্তল কাবু করতে পারবে কি না , সেকথা শঙ্কু বলে যাননি।
২০. পোলার রিপলেয়ন থিয়োরিঃ জিনিসটা কী, খায় না মাথায় দেয়, সেটা লেখা নেই কোত্থাও। নিশ্চয় জটিল কিছু হবে। উল্লেখ পাওয়া যায় ‘শঙ্কু ও খোকা’ গল্পে।
২১. নিওস্পেক্ট্রোস্কোপঃ ভূত দেখার যন্ত্র। সঙ্গে ভূতের সঙ্গে কথাবার্তার সুযোগ ফ্রি।
২২. রোবুঃ অত্যাধুনিক সর্বজ্ঞ রোবট। বানাতে খরচ পড়েছিল ৩৩৩ টাকা সাড়ে সাত আনা মাত্র।
২৩. লিঙ্গুয়াগ্রাফঃ এই যন্ত্রে কোনও ভাষার কথা রেকর্ড হয়ে তিন মিনিটের মধ্যে অনুবাদ হয়ে যায়।
২৪. অ্যানাস্থিসিয়ামঃ নয়া কিসিমের বন্দুক। ট্রিগার টিপলেই সামনের শত্রু কয়েক ঘণ্টার জন্য অজ্ঞান।
২৫. ক্যামেরাপিডঃ এতে রঙিন ছবি তোলা হয়ে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে বেড়িয়ে আসে প্রিন্ট আউট। যখন এই ক্যামেরার কথা লিখেছেন শঙ্কু, তখনও কিন্তু পোলারয়েড ক্যামেরা আবিষ্কার হয়নি।
২৬. ঘ্রাণশক্তি বাড়ানোর ইঞ্জেকশনঃ নামকরণ করে যাননি শঙ্কু।
২৭. শ্যাঙ্কোভাইটঃ মাধ্যাকর্ষণ বিরোধী ধাতু। শূন্যে দিব্যি ভেসে থাকতে পারে।
২৮. শ্যাঙ্কোপ্লেনঃ শ্যাঙ্কোভাইট দিয়ে তৈরি বিমান।
২৯. টার্বোলিনঃ শ্যাঙ্কোভাইটের জ্বালানি। গন্ধ চন্দন কাঠের মতো। যে হারে দাম বাড়ছে পেট্রোল –ডিজেলের, তাতে পরখ করে দেখা যেতেই পারে।
৩০. তৃষ্ণাশকঃ তেষ্টা মেটানোর বড়ি।
৩১. কফি পিল, টি-পিলঃ কফি এবং চায়ের বিকল্প বড়ি। কাপ হাতে সুড়ুত শব্দে চুমুকের মজাটা হবে না হয়তো, তবু ঠেলায় পড়লে চায়ের অভাবে মন্দ কী?
৩২. ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম প্রাণঃ সঙ্গী ছিলেন বৈজ্ঞানিক হামবোল্ট।
৩৩. অরনিথিনঃ পাখিদের শেখানোর যন্ত্র।
৩৪. অক্সিমোর পাউডারঃ পাহাড়ে উঠতে অক্সিজেনের অভাবে যাতে কারও কষ্ট না হয় তাঁর দাওয়াই।
৩৫. কম্পুঃ কথা বলার কম্পিউটার। বানাতে শঙ্কুর সাথে হাত লাগিয়েছেন দেশ বিদেশের নানা বৈজ্ঞানিক।
৩৬. সেরিব্রিলান্ট, নার্ভিগারঃ নার্ভ চাঙ্গা রাখার ওষুধ।
৩৭. এভিলিউটনঃ মানুষকে বিবর্তনের ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যায়।
৩৮. কম্পুডিয়ামঃ প্রেতাত্মা নামানোর যন্ত্র।
৩৯. এক্স এবং অ্যান্টি এক্সঃ সুস্থ মানুষকে কয়েক মিনিটের মধ্যে হিংস্র দানবে পরিণত করে এক্স। অ্যান্টি-এক্স দিয়ে ফের তাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়।
৪০. মার্জারিনঃ বিড়ালের আয়ু বাড়ানোর ওষুধ। যা খেয়ে নিউটনের আয়ু হয়েছে স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি।