মূল বিষয়ে যান

প্রফেসর শঙ্কুর জগতে আপনাকে স্বাগতম 🎉

প্রফেসর শঙ্কু একজন বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক, অভিযাত্রী, এবং গবেষক। তিনি ৬৯টি ভাষায় পারঙ্গম এবং ৭২টি আবিষ্কারের আবিষ্কারক। তিনি হায়ারোগ্লিফিক পড়তে পারেন এবং মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পার দুর্বোধ্য লিপি পাঠ করতে পারেন। তিনি পাঁচটি মহাদেশের বিজ্ঞানীদের দ্বারা টমাস আলভা এডিসনের পরে মহান উদ্ভাবক হিসেবে স্বীকৃত হন। তিনি ব্রাজিলের রাটানটান ইনস্টিটিউট থেকে ডক্টরেট লাভ করেছেন এবং সুইডিশ আকাদেমি অব সায়েন্স থেকে বিশেষ সম্মান পেয়েছেন। তিনি প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গলে যাত্রা করেছেন এবং তার অদ্ভুত ডায়েরিটি একটি উল্কার পিঠে চাপিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ডায়েরিটির লেখাগুলো ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায় এবং পাতাগুলো নষ্ট হয় না। ডায়েরিটির দিনলিপিগুলো থেকে আমরা প্রফেসর শঙ্কুর চমৎকার আবিষ্কার ও দুঃসাহসিক অভিযানগুলোর ব্যাপারে জানতে পারি।

অমর স্রষ্টা সত্যজিতের অমর সৃষ্টিগুলোর মধ্যে একজন প্রফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু। ১৯৬১ সালে সত্যজিতের চল্লিশতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত হয় তার পারিবারিক পত্রিকা ‘সন্দেশ’ এর তৃতীয় সংস্করণ। সন্দেশ এর পাতা ভরানোর উদ্দেশ্যেই সত্যজিৎ রায় প্রফেসর শঙ্কুকে সৃষ্টি করেন।

প্রথম গল্পটি ছিল ‘ব্যোমযাত্রীর ডায়েরি’। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দ বা ১৩৬৮ বঙ্গাব্দে সন্দেশ এর আশ্বিন, কার্তিক ও অগ্রহায়ণ তিন সংখ্যায় গল্পটি ছাপা হয়। গল্পটি ছাপার পরেই ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। সত্যজিৎ এরকম একটি চরিত্র সৃষ্টির ব্যাপারে তিনি অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন বাবা সুকুমার রায়ের “হেসোরাম হুঁশিয়ারি-র ডায়েরি” থেকে।